কাল খুব রাতে এক ছোট ভাই ম্যাসেজ দিলো, “ভাই Pathao আমার গার্লফ্রেন্ড নিয়া যাবেনা তো ?”
ব্যাপারটা হাস্যকর আবার হাস্যকর না। ছেলেটা রিলেশন নিয়ে সেন্সেটিভ, আর সে আতংকে আছে। আতংকে থাকাটা স্বাভাবিক, আর না থাকাটা মূর্খামী।
পাঠাও ইস্যুটা এখন মিস কনসেপশনের দিকে চলে যাচ্ছে। কেউ হ্যাকিং এর ভয়ে কাতরাচ্ছে, কেউ নিয়া গেলো নিয়া গেলো বলে লাফাচ্ছে। ব্যাপারটা ক্লিয়ার করা দরকার। আসেন একটু ধৈর্য নিয়েই বসি।
প্রথমে ভুল গুলোই ভাঙ্গা যাক। পাঠাও আমাদের SMS, Phone Book,App list চুরি করেছে।কথার প্রসঙ্গে ধরে নিলাম ডাটা গুলো তারা জমা রেখেছে। ডাটা গুলো জমা রাখাও পাপের কিছু না। পাঠাও এর ভাষ্যমতে তাদের কাছে আমাদের ডাটা নিরাপদে আছে। যা বাবা এইটাও চোখ বন্ধ করেই মেনে নিলাম।
ফেসবুকে অনেকে পোস্ট দিচ্ছে পাঠাও SMS ঘেটে Forget Password/বিভিন্ন ওয়েব সাইডে লগিন কোড ইত্যাদি সেন্সিটিভ ইনফরমেশন হাতিয়ে নিচ্ছে। এই জিনিসটার বাস্তবতা পুরোপুরি ভিন্ন। সেসব SMS ঘেটে আপনার Phone Book থেকে আপনার মোবাইল নাম্বার বের করে কোনমতে আপনার আইডি হ্যাকিং সম্ভব। জ্বি এটা অসম্ভব না কোন এংগেল থেকেই! বাট এই প্রন্থাটা আসলে বাস্তবে কেউই(কম্পানিগুলো) ব্যাবহার করে না। কেনো করে না সেটাতে পরে আসছি। পাঠাওয়ের সিইও তাই বলেছেন, তারা এই ধরনের অনৈতিক কাজে নেই। তবে পাঠাও এর সিইও বলেছেন ” নিরাপত্ত্বার কথা “। নিরাপত্ত্বার জন্য তিনি Phone Book নিয়েছেন , এই ভোগাস কথাটা মানতে পারলাম না। পাঠাও এপ এ এতো অপশন রাখলেন বাট ” In Case Of Emergency ” নামে একটা অপশন রাখেননি এটা বললে নিজেও বলদ হবেন আমাদের ও বলদ বানাবেন৷
এবার আসি একটা ভয়ানক সত্য পার্টে!
নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে যারা দোটানায় ভোগেন, পরিবেশ/মানুষ/ব্রেন্ডের দ্বারা খুব তাড়াতাড়ি ইনফ্লুয়েন্সড হোন নিচের অংশটুক তাদের না পড়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো। নিচের অংশটুকু পড়ার পর মনে হতে পারে আপনি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছেন /বিশ্বাস ঘাতকতার স্বীকার হচ্ছেন / আপনাকে নিয়ে খেলা হচ্ছে। যা আপনার নিয়মিত জীবন যাত্রাতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে…
দক্ষিন এশিয়া উপ মহাদেশে একটা প্রবাদ এর প্রচলন আছে, ” শাক দিয়ে মাছ ঢাকা ” । পাঠাও নিয়ে যিনি প্রথম বোমাটা ফাটিয়েছেন তার নামটা জানি না, তিনি সৎ উদ্দেশ্যেই ইনফরমেশন গুলো দিয়েছেন। উনি আইডি হ্যাক/আজগুবি কোম ক্লেইম করেননি। শিক্ষিত মানুষ ডাটা চুরি নিয়ে বলে গেছেন। দেখিয়ে গেছেন।
শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম আজ ভোরে। এক ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম। সে ডাটা সাইন্স নিয়ে পড়া শোনা শেষ করেছে প্রায়। কথায় কথায় আসলো পাঠাও আর ফেসবুকের কথা।
পাঠাও আর ফেসবুক এক সাথে মেলালে হয়? হয়না তবু বলছি। আচ্ছা এর মাঝে একটা প্রশ্ন মাথায় নিয়ে নিন, ” পাঠাও যদি আপনার ডাটা এতো নিরাপদে রাখে কিন্তু এই ডাটা নেয়ার দরকার কি? টাকা খরচ করে কেন আপনার ডাটা সেভ করে রাখছে, এমন তো নয় যে সে আপনাকে গুগল ড্রাইভ কিংবা ড্রপ বক্সের মতো বেকাপ দিচ্ছে? ”
বেশ কিছু সময় আগেই ফেসবুক নিয়ে এক কেলেংকারি হয়েছে। এটা জানে না এমন মানুষ কম। ফেসবুক কেলেংকারিতে আইডি হ্যাকিং ফ্যাকিং স্প্যাপিং এমন কিছু কিন্তু হয়নি। এই কেলেংকারি নিয়ে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা – পৃথিবীর ১/২ নাম্বার শ্রেষ্ঠ ধনি জুকার্বাগকে সিনেটে যেতে হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া-ইন্টারর্নেট বোঝেন না, হয়াটস এপ-ফেসবুকের পার্থক্য বোঝেন না এমন বিচারপতির অদ্ভুত হাস্যকর – অপমাননাকর প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। কিন্তু যারা সেই ঘটনাতে আপ টু ডেট থেকেছেন তারা /একটু ব্রাউজ করলেই জেনে নিতে ” পারবেন ফেসবুক এই কেলেংকারির কোন অংশ নয়”। হ্যা সত্যিই ফেসবুক কাওকে তাদের ডাটা সেল করিনি। কেমব্রিজ এনালিটিকা নামক এক কোম্পানিকে ফেসবুক তার ইউজারদের কিছু ডাটা এক্সেসের পার্মিশন দিয়েছে মাত্র। কিন্তু সরাসরি দেয়নি, এনালিটিকা সেই ডাটা পেয়েছে বিভিন্ন ফেসবুক এপ/আর্টিকেল ক্লিক ইত্যাদি ইত্যাদি ভাবে৷ যেমন আপনারা ইউজ নানান এপ ইউজ করেন ” আমার কোন বন্ধু দেখতে হিরো আলমের মতো সুন্দর? ” মজার মজার দুই একটা ক্লিকে এন্সার বের করে ফেলেন ” আপনার বন্ধু রহমত হিরো আলমের মতো দেখতে ” এমনটাই তো করেন তাইনা? আর এমনে এমনে কতো কম্পানিরে নিজের ডাটা দিয়া দিসেন আপনি জানেন ও না। প্রমান? মাঝে মাঝেই দেখবেন আননোন মেইল থেকে মেইল আসে। এমন কম্পানির কিছুতে আপনি সাবস্ক্রিপশন নেন নাই, ক্লিক করেন নাই। আমনকি দেখবেন মাত্র আপনি “আজকেরডিল.কম/দারাজা.কম/পিকাবু.কম ব্রাইজার থেকে ভিডিট করলেন আর এই কম্পানির এড আস্তেসে ফেসবুকে। ওই সব ওয়েবসাইটে আপনি যে পন্য নিয়া ঘাটা ঘাটা করসেন একেবারে ওইগুলাই আসছে। কি ভয় লাগে? ভয় নাই, এইটা প্রচলিত অনলাইন দুনিয়ায় দুধ ভাত ব্যাপার। তাই এটা নিয়া কথা না বাড়াই।
এখন প্রশ্ন আসবে কেমব্রিজ এনালিটিকা এই ডাটা দিয়ে কি করেছে? সহজ উত্তর ” একটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বানিয়েছে “। অনেক জ্ঞ্যানি লোকের বিশ্বাস হবেনা। বিশ্বাস করতে হবেনা। কারন আপনি বিশ্বের ১ নাম্বার ধনি না, আপনার কোম্পানির ইউজার ১৫০ কোটিও না।তো আপনার দুইদিন আদালত মারাইলে কারো কিছু হবেনা!
কিন্তু কেমব্রিজ এনালিটিকা প্রেসিডেন্ট বানাইলো কেমনে? এখানেই ট্রিকি ব্যাপারটা। কেমব্রিজ এনালিটিকা কোন নির্বাচনি প্রচারনা দল নয়। ওদের কাজটা ডাটার বাইরে কিছুই না।
কিন্তু তাইলে ওরা প্রেসিডেন্ট বানাইলো কেমনে? বর্তমান পৃথিবীতে নতুন কিছু পেশার উদ্ভব হইসে। ডাটা এনালিস্ট-ডাটা সাইনটিস্ট। আজকের আগে আমি এই পেশাগুলোকে কম্পিউটার লোডের দোকানদার ভাবতাম। এখন ভাবী মাস্টার প্ল্যানার হিসেবে!
তারা কিভাবে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট বানিয়েছে আসুন দেখি –
ক্রেমব্রিজ এনালিটিকা কখনোই ট্রাম্পকে নিয়ে সরাসরি প্রচারনায় যায়নি। তাদের কাজটা শুরু হয়েছে ট্রাম্পের প্রচারনার ও প্রায় ৩-৫ বছর আগে।
প্রথম ধাপে কেমব্রিজ এনালিটিকার কাজ ছিলো ডাটা কালেক্ট করা। কিসব ডাটা? পার্সোনাল ইনফরমেশন, সাইকোলজিকাল ইনফরমেশন, সোশ্যাল রিলেশন স্ট্যাটাস ইত্যাদি। এই ধাপে যে ডাটা গুলো কালেক্ট করা হয়েছে সেগুলো স্বভাবতই অগোছালো (unstructured)। ভিডিও-অডিও-টেক্সট-ম্যাসেজ যেকোন ধরনের ডাটাই ছিলো এই ডাটা সেটে।
কিন্তু এক ডাটা দিয়েই কি হবে? তারপর এই ডাটা থেকে একটা পয়েন্ট খোজা হয়েছে। যেমন ধরুন পয়েন্টটা হতে পারে আমেরিকায় বসবাসকারী বাঙ্গালী। সে এমন একজন বাঙ্গালী হতে পারে যে আমেরিকায় পার্মানেন্ট রেসিডেন্টশপ পেয়েছে?তো আমেরিকায় বসবাসকারী বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত্ব পরিবারের আমেরিকায় ধোয়া মোছার কাজ করছে, সে চায় উন্নত চাকরী ইত্যাদি ইত্যাদি।
এই ডাটা গুলো বিভিন্ন প্রাসপেক্টিভে বিভিন্ন ভাবে ডিগ করা যেতে পারে। এর কোন রুলস রেগুলেশন এই পৃথিবীতে নাই। কেউ বানাবেও না।
তো অগোছালো অনেক ডাটা থেকে একজন মধ্যবিত্ত্ব ধোয়া মোছার কাজে নিযুক্ত বাঙ্গালী আমেরিকানের খোজ জানলাম যার বয়স ২৭ এবং সে পাশাপাশি পড়াশোনাও করতাসে। তার লোকেশন এক্সেস বা তার ফেসবুকের বিশাল ম্যাসেজ/স্ট্যাটাস ঘাইটা জানলাম সে উমুক এলাকায় থাকে। সন্ধ্যা হইলে তুমুক এলাকায় যায়। আরো জানলাম সে একজন মুসলিম। তো একজন ডাটা সাইনটিস্ট ২-৩ ঘন্টা সময় নষ্ট করে এই সামান্য একটা প্রোফাইল বানাইলো।
এই সামান্যর পিছনে অনেক অসামান্য আছে। ক্রেমব্রিজ এনালিটিকার একজন ডাটা সাইন্টিস্ট সেই বাঙ্গালী যুবককে এবার বড়শি দিয়ে বাধবে। কোন/কয়েকটা এপ ডাউনলোড/ইউজ করার জন্য পুশ করবে। ফেসবুকে সেই বাঙ্গালীকে ধরেই সে টার্গেট এডভার্টাইজমেন্ট করলো। সে কয়েকটা এপ থেকে যদি একটা এপ ডানলোড করে তাহলে সাইন্টিস্ট সাকসেসফুল। সাইনটিস্ট এবার সেখান থেকে পাঠাওয়ের মতো সব কন্টাক্ট নাম্বার-মোবাইল এসএমএস-এপ ইনফরমেশন জেনে নিলো। জেনে নিবে আপনি কোন এপ বেশি ইউজ করেন কোন এপ কম করেন। জেনে নিবে আপনার মা আপনাকে দিনে কতোবার কল দেয় কখন কল দেয়। জেনে নিবে আপনার বসের নাম্বার। আপনার বসের নাম্বার থেকে বসের ফেসবুক আইডি – হোয়াটসএপ।
এর মাঝেই ছেলেটা তার ব্যাবহৃত এপ ইউয়ুবে মাঝে মাঝেই এড দেখবে সুন্দর আমিরিকা নিয়া কোন ভিডিও। সে দেখবে সুন্দর আমেরিকার কোন গান। দেখবে আমেরিকার ইতিহাস নিয়া কোন ভিডিও। সে আগে পড়ে দেখবে। সে দেখবে মুসলিম বিশ্বে যুদ্ধ হচ্ছে। সে দেখবে গাজায় বোমাবাজি। ট্রেন্ড হোক যাই হোক সে দেখবে। এবং শুধু সে একাই দেখবে না। তার বাপ ভাইয়ের সাইকোলজিও যদি তার সাথে হালকা পাতলা মিল্লা যায়। তারাও দেখবে। তারা ইউটুব দেখেনা? টিভিতে গাজা নিয়া নিউজ দেখবে। এতো সময় কই সাইনটিস্টের বাপ ভাইরে নিয়া ঘাটানির? আসলে সাইনটিস্ট একজকেই ধরসে, বাপ ভাই অটোমেডেট ম্যাচ।
***মাঝে অনেক অনেক অনেক কিছু বাদ দেয়া হলো। সময় নাই। আপনারা নিতে পারবেন না****
একদিন সকালে হুট করেই আম্রিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রচারনা শুরু। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বললো সে সুন্দর আম্রিকা চায়। যুদ্ধ ছাড়া পৃথিবী চায়। সে আম্রিকান মুসসিলমদের নিয়া বললো না কিছু। সে বললো সে ওবামার মতো জঙ্গি মুসলিম এর উপরে বোমাবাজি করবে না,কিন্তু সে বললো সে দেশে আর কোন মুসলিম ঢুকতে দিবে না। ট্রাম্পের আমেরিকায় নতুন কেউ আসবে না, পুরানেরাই চাকরী পাবে। ট্রাম্পের আমেরিকায় মেক্সিকান(ধরেন আমাগো দেশে রোহিঙ্গা টাইপ) কেউ আইবো না, ট্রাম্প হের লেইগা লাগলে দেয়াল দিবো। ট্রাম্পের আমেরিকা আবার গ্রেট হইবোই হইবো। কারন ট্রাম্পে দেশ লইয়া ভাবে। বিদেশ লইয়া না।
বাঙ্গালি ছেলের জায়গায় আপনার রিএকশন কি? হিলারির কথা নাইবা টানলাম। ধরে নিলাম নির্বাচনের আগেরদিন সিয়াইএ থেকে হিলারীর বিরুদ্ধে যেই একটা চিঠি বের হয়েছে সেইটাও নির্বাচনে কোন ইফেক্ট ফেলে নাই। তার পরেও আপনি আমেরিকায় বসে কেকে কারে ভোট দেবেন? একজন মহিলা প্রেসিডেন্ট হিলারীকে? যে এতোদিন বিদেশিদের হাতাহাতি করতে ব্যাস্ত ছিলো? ব্যাস্ত ছিলো বাংলাদেশি প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনাকে চাপ দিতে। ডার্লিং ইউনুসকে গ্রামীনের চ্যায়ারমেন বানানোর জন্য৷
আর এগুলো সবকিছুর শুরু হয়েছিলো বাঙ্গালী আমেরিকান সেই ছেলের ” আমার কোন বন্ধু হিরো আলমের মতো দেখতে ” এই এপসের দুই এক ক্লিক থেকে। সেই ছেলেকে আরো কতো ভাবে মেনুপুলেশন করা হয়েছে আপনি ভাবতে পারবেন না। সেই ছেলের এলায় এক কনসার্ট, স্পন্সার্ড করেছে তুমুক কম্পানি,তুমুক কম্পানিরে ভালো ভালো পাই। তুমুক কম্পানি ট্রাম্পরে সোপোর্টায়। ভালো লাগে! কেউই সেই আমেরিকান বালককে বলে নাই ট্রাম্পকে ভোটাও। একমাত্র ট্রাম্প বলেছে নিজে।
এই ছিলো এক আমেরিকান বাঙ্গালিকে মেনুপুলেশন। ক্লাস ভেসে – আউ ভেদে – সাওসাইটি ভেদে – কর্ম ভেদে আমেরিকার 50 million মানুষকে মেনুপুলেট করা হয়েছে। বিশ্বাস না হলে গুগল করুন 🙂
আর এই ৫০ মিলিয়ন মানুষের একজন জানে না তাকে ব্যাবহার করা হচ্ছে। তাকে পরিবর্তন করা হচ্ছে। জানে না তার অবচেতনকে নতুন ভাবে প্রভাবিত করে এক নতুন ইচ্ছা জাগ্রত করাচ্ছে। তারা জেনেছে নির্বাচনের পর। আর তাদের এসব বিশ্বাস করার সময় কই? কাজ আছে! ইনসেপশন দেখেছেন? একটু মিলান, হালকা মিলান।
আর এবার আসি পাঠাওয়ে। খেয়াল করেছেন কখনো একি সময় ধরে আপনি আর আপনার বন্ধু পাঠাও এপ ব্যাবহার করছেন। সে জিপি /রবি/বাংলালিংক/এয়ারটেলের বিশেষ গ্রাহক নয়। কিন্তু মোবাইল পাঠাও প্রোমো আসলে সে আপনার চাইতে ৫-১০ টাকা ডিসকাউন্ট বেশি পায়। পায় নাকি? হয়তো জানিনা।আয় যদি পায় ও তাইলে কারন কি? তারা কেমনে জানে আপনার বন্ধু গরীব আর আপনি ধনি?নাকি বিকাশ/ব্যাকের এস এম এস ঘাটসে? দেখেছেন সকাল সকাল পাঠাও এপে নোটিফিকেশন আসে ব্যাস্ত দিনে যাত্রা শুরু করতে? তারা কিভাবে জানে আপনি এই সকালেই বের হবেন?নাকি আপনার বন্ধুর কোন এস এম এস এসেছিলো? আপনি কি পাঠাও থেকে ম্যাসেজ পেয়েছেন ঘর বসে আয় করার? তারা কিভানে জানে আপনি বেশি সময় ঘড়েই কাটান?
আজকে রাজনীতি করছেন? দেখেছেন ফেসবুকে কিছু মানুষ সারাদিন খেয়ে না খেয়ে রাজনীতি করছে? আপনি হয়তো শুনছেন নির্বাচনের আগে দেশে একটা গ্যাঞ্জাম হবে? আপনি হয়তো শুনসেন খালেদা জিয়া ছাড়া বিএনপি নির্বাচন করবে না, শুনসেন না? আপনি শুননেস প্রধানমন্ত্রী সংবিধান না ভেঙ্গে সব কাজ করতে রাজি। এগুলা কি জানেন মেনুপুলেশন। ডাটা ঘাটাঘাটির পর আওয়ামীলীগ আজ জানে তরুন সমাজ কি চায়, যেটা বিএনপি জানে না।তাই আওয়ামীলীগ যুক্তির ঝান্ডা ঝোলায় আর বিএনপি বোকার মতো ইমোশনাল। আওয়ামীলীগ আজ জানে একটা মাদ্রাসার ছাত্রকে মাস্টার্সের সম্মাননা দিলে তার ঘরে চারটা ভোট পাবে। এইগুলা হিসাব।
কিন্তু এই রাজনীতির ডাটার সাথে পাঠাও মেলাতে কষ্ট হয়। রাজনীতিতে ম্যানুপুলেশন হাজার বছর আগে ছিলো, এখনো আছে, থাকবে। কিন্তু আমার অজান্তে, সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাকে ম্যানুপুলেট করার সুযোগ তো আমি পাঠাওকে দিবো না। আর একটাই যুক্তি আমাকে ম্যানিপুলেট করা ছাড়া এসব ডাটা পাঠাওয়ের কাছে রাখার নাম মাত্র কারন নেই মানে নেই। খোদাই কসম নেই! আমেরিকা যেমন পৃথিবীর এক নাম্বার ধনীকে কাঠ গড়ায় দাড় করাইতে পারে। আমরা পারবোনা? বিচার বিভাগ কি এক নগন্য আইটি কোম্পানির কাছে মুখ থ্রুব্রে পড়বে? নাকি আমরাও বিশ্বকে দেখাবো, দোষ মানে দোষ। এখানে ভুগি চুগি বুঝে মাফ নাই। কি বলেন?