অ্যানিমেশন জগতের অন্যতম সেরা সৃষ্টি ‘ফাইন্ডিং নিমো’ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। একটা নীল আর দুইটা লাল রঙের মাছের সিডনি অভিযান নিয়ে চমৎকার এক অ্যানিমেশন ফিল্ম এই ফাইন্ডিং নিমো। এক বাবা ক্লাউনফিশ তার সন্তানকে খুঁজতে সমুদ্রের বহু পথ পাড়ি দেয়, মুখোমুখি হয় সাগরের তলদেশের বড় বড় সব হিংস্র মাছেদের ! শেষমেষ খুঁজে পায় তার সন্তান নিমোকে। পুরো পথে তার সঙ্গী হয় ডোরি নামের আরেকটি মাছ। সব মিলিয়ে অসাধারণ এক অভিযানের চিত্র উঠে এসেছে এই অ্যানিমেশনে !
বিশ্বজুড়ে সাড়া জাগানো জনপ্রিয় এই ফাইন্ডিং নিমো (Finding Nemo) সম্পর্কেই কিছু অজানা তথ্য আজ আমরা জানবো। চলুন একনজরে জেনে নেয়া যাক…
- ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া ফাইন্ডিং নিমো নির্মাণের কাজ শুরু হয় ১৯৯৭ সালে।
- সিনেমাটিতে মাছের ফেস এক্সপ্রেশন বা চেহারার ভঙ্গি দেখানোর জন্য মডেল হিসেবে কুকুরের ফেস এক্সপ্রেশন ব্যবহার করা হয় !
- সিনেমাটি নির্মাণের সময় এর জন্য বানানো সাগরের তলদেশের দৃশ্য এতটাই নিখুঁত হয়ে যায় যে, দেখতে একেবারে আসল সমুদ্রপৃষ্ঠের মত মনে হয়। এ কারণেই নির্মাতাদের এই সাগরের তলদেশের দৃশ্য পুনরায় নির্মাণ করতে হয়। যাতে দর্শকরা এই দৃশ্যটিকে আসল ভেবে বিভ্রান্ত না হয় !
- ফাইন্ডিং নিমোই পিক্সার মিডিয়ার প্রথম ছবি, যা আমেরিকার বাইরে অর্থাৎ গোটা বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায়।
- ২০০৩ সালের হিসেবে এটাই ছিলো একমাত্র অ্যানিমেশন, যার মুক্তির পর টানা কয়েক সপ্তাহ যাবৎ আয় করে গেছে।
- এই মুভিটি মুক্তির পর ক্লাউনফিশের দাম কয়েকগুণে বেড়ে গেছে। অথচ একসময় কেউ অ্যাকুরিয়ামের জন্য এসব ক্লাউনফিশ কিনতোই না !
- এই অ্যানিমেশনে ডোরি নামের নীল রঙের মাছটি ভুলোমনা চরিত্রে অভিনয় করে। সে সবকিছু ভুলে যায়। পুরো মুভিতে ডোরি মাত্র ৭ বার নিমোর নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পেরেছে।
- সাগরে কচ্ছপদের ভেসে যাবার যে দৃশ্যটি দেখানো হয়, সেখানে প্রায় ২০০টি অ্যানিমেটেড কচ্ছপ ব্যবহার করা হয়।
- ক্রাশ নামক কচ্ছপটির কন্ঠ দিয়েছিলেন অ্যানিমেশনটির পরিচালক নিজেই !
- টয়লেটের কমোডে অ্যাকুরিয়ামের মাছ ছেড়ে ফ্লাশ করার যে দৃশ্যটি দেখানো হয়, সেটি মূলত শিশুদের জন্য একটি সচেতনতামূলক দৃশ্য ছিলো। বাচ্চারা যাতে দুষ্টমি করে এ কাজ না করে, সে উদ্দেশ্যেই দৃশ্যটি দেখানো হয়েছে। এবং এক জরীপে দেখা গেছে, এই সিনেমা দেখার পর আমেরিকার বাচ্চারা সত্যি সত্যিই এই দুষ্ট কাজটি করা বন্ধ করে দেয়।
- মুভিটি দেখার পর নিমোর বাবাকে সবাই সুপারহিরো বললেও আসল সুপারহিরো হচ্ছে ডোরি। কারণ নিমোকে কোথায় খুঁজতে হবে, কোথায় গেলে তাকে পাওয়া যেতে পারে, তা ডোরির মাথা থেকেই বের হচ্ছিলো !