ইসলাম ধর্মে দাঁড়িয়ে পানি পান করায় নিষেধাজ্ঞা আছে। কোনো স্থানে বসে পানি পান করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বসে পানি পান করা কতটা স্বাস্থ্যকর? পানি দাঁড়িয়ে পান করা উচিত নাকি বসে পান করা উচিত, সে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান অতীব কম। চলুন জেনে নেয়া যাক, বসে পানি পান করা অস্বাস্থ্যকর নাকি দাঁড়িয়ে পানি পান করা অস্বাস্থ্যকর !
পানি পান করার নিয়ম
আমাদের শরীরে পানির গুরুত্ব অসীম। এই পানি পান করারও কিছু নিয়মকানুন আছে। রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি খাওয়ার মত কাজ আমরা হরহামেশাই করে থাকি। এমনকি বাড়িতেও ! মূলত এই দাঁড়িয়ে পানি পান করাতেই তৈরি হচ্ছে যত বিপদ। শরীরে বাসা বাঁধছে নানান ধরণের রোগ। পানি পান করার সঠিক নিয়ম হচ্ছে, বসে পানি পান করা । ছোট ছোট চুমুকে পানি খাওয়া !
দাঁড়িয়ে পানি পান করলে যে ক্ষতিগুলো হয়
পাকস্থলীতে ক্ষত তৈরি হয় : দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশংকা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণা সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হয়।
টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে : পানি পান করার পরেই ছাঁকনিগুলো শরীর পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে দেয়। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের অন্দরে থাকা ছাকনিগুলি সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে।
আর্থারাইটিসের আশঙ্কা : শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে জয়েন্টের কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশঙ্কা বাড়ে
কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয় : দাঁড়িয়ে পানি পান করলে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে। কিডনি ড্যামেজের সম্ভাবনা থাকে।
গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ : দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি ইসোফেগাসে গিয়ে ধাক্কা দেয়। এর ফলে পাকস্থলীর ভেতরের সরু নালিটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলে গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ বা G.E.R.D এর মত রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।
উদ্বেগ বাড়ে : দাঁড়িয়ে পানি পান করলে নার্ভ উত্তেজিত হয়ে যায়। উদ্বেগ বাড়তে থাকে।
এসকল বিজ্ঞান নির্ধারিত কারণেই বলা যায় দাঁড়িয়ে পানি পান করা বিপদজনক। সে তুলনায় বসে পানি পান করাই স্বাস্থ্যকর। ইসলাম ধর্মেও বসে পানি পান করার নির্দেশ দেয়া আছে।