আমরা যা খাই, তা আসলেই কি তাই ? কতকিছুই তো না জেনে খাই। কিন্তু কি ছিলো এসব খাবারের ইতিহাস? চলুন এক নজরে জেনে নেয়া যাক, একালের খাবারগুলো সম্পর্কে ইতিহাসের আড়ালে থাকা অদ্ভুত কিছু তথ্য…
ফুড ফ্যাক্টস
- ১৮৬৯ সালে পৃথিবীর প্রথম বাজারজাত স্যুপ তৈরি হয়। প্রথমবারের মত বাজারে আসা এ স্যুপটির নাম ছিলো Campbell Soup ! তখনকার সময় এর ভেতর পানিতে ভেজানো আস্ত টমেটো দেয়া হত !
- পাউন্ড কেক খেতে আপনি নিশ্চয়ই পছন্দ করেন। কিন্তু এই ‘পাউন্ড কেক’ নামটি কিভাবে এলো? অনেকেই মনে করেন যে, এক পাউন্ড-দুই পাউন্ড ওজন পরিমাপের কারণে একে পাউন্ড কেক বলা হয়। তথ্যটি আসলে ভুল। কেকটির নাম পাউন্ড কেক হবার কারণ হচ্ছে এটির উৎপত্তির ঘটনা ! কেকটি সর্বপ্রথম এক পাউন্ড ময়দা, এক পাউন্ড মাখন, এক পাউন্ড চিনি ও এক পাউন্ড ডিমের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি করা হয়। সেখান থেকেই এর নাম হয়ে যায় পাউন্ড কেক !
- আমরা লাল রঙয়ের যে আপেলগুলো খাই, সেগুলো আসলে ফল নয়, বরং এটি হচ্ছে গোলাপ ফুলের একটি প্রজাতি ! স্ট্রবেরি এবং চেরীফলও একই তালিকার অন্তর্ভুক্ত। কালের বিবর্তনে এগুলোর আকার বদলে গেছে।
- পৃথিবীতে প্রায় ৭০,৫০০ জাতের আপেল রয়েছে।
- পৃথিবীর আর কোনো দেশের পিৎজ্জাতেই মটরশুটি পাওয়া না গেলেও শুধুমাত্র ব্রাজিলের পিৎজ্জাতেই মটরশুটির দেখা পাওয়া যায়। ব্রাজিলের এত বেশি মটরশুটি চাষ হয় যে, সেখানকার রেস্তোরাগুলা প্রায় সব খাবারেই এটি ব্যবহার করে। তারা পিৎজ্জার উপর মটরশুটির স্তুপ ঢেলে দেয় !
- পৃথিবীর সবচেয়ে দামী পিৎজ্জাটির দাম কত জানেন? ১২,০০০ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ! ছোট্ট এই পিৎজ্জাটি অর্ডার দেয়ার পর পরবর্তী ৭২ ঘন্টা আপনাকে রেস্টুরেন্টে বসে অপেক্ষা করতে হবে পিৎজ্জা প্রস্তুত হবার জন্য !
- চকলেট এখনকার দিনে বাচ্চাদের খাদ্য হলেও একটা সময় চকলেটই ছিলো মুদ্রা বা কারেন্সি ! চকলেট বানাতে এখন আমরা বিন নামক যে উপাদানগুলো ব্যবহার করি, ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দে তা মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হত ! একটি ছোটখাট জাহাজ তখনকার সময় ১০০০ বিন বা ১০০০ চকলেট দিয়ে কেনা যেত। ভাবতে ভালোই লাগে, এখন আমরা পূর্বপুরুষদের মুদ্রা চিবিয়ে খাচ্ছি !
- ম্যাকডোনাল্ড বার্গারের আউটলেটগুলো কতটা ব্যস্ত জানেন? একটি ম্যাকডোনাল্ড আউটলেটে প্রতি সেকেন্ডে ৭৫টি করে বার্গার তৈরি হয়। এবং একই সাথে একই সেকেন্ডে ৭৫টি করে বার্গার বিক্রি হয় !
- অনেকেই ভাবেন ফুল থেকে মৌমাছির সংগ্রহ করে আনা রস দিয়ে মৌচাকে মধু উৎপন্ন হয়। এটা ভুল। আসলে মধু হচ্ছে মৌমাছির বমি ! অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করে মৌমাছি যখন বমি করে, সেটি তখন মৌচাকে ছড়িয়ে জমাট বেধে যায়। পরবর্তীতে আমরা তা সংগ্রহের পর পরিশোধন করে খাই।
- আমরা এখন যেসব মুরগি খাই, সেগুলো দেখতে তরতাজা ও নাদুস নুদুস। কিন্তু কয়েকশ বছর আগের মুরগিগুলো এমন ছিলো না ! বাসার বয়স্ক কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখুন ৫০ বছর আগের মুরগিগুলো দেখতে কেমন ছিলো, তাহলেই তথ্যটির সত্যতা সম্পর্কে ধারণা পাবেন। প্রতি শতকেই হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এখনকার মুরগিগুলো দিনকে দিন মোটা হয়ে চলেছে। ১৭০০ খ্রিষ্টাব্দের সময় একটি প্রাপ্তবয়স্ক মুরগি থেকে মাংস পাওয়া যেত আধাকেজি। এখনকার সময় একটি প্রাপ্তবয়স্ক মুরগি থেকে মাংস পাওয়া যায় ২-৩ কেজি। আরো দুইশ বছর পর যা কিনা ৫-৬ কেজিতে গিয়ে ঠেকবে !
ফুড ফ্যাক্টস সিরিজটির সাথে আপডেটেড থাকতে ফেসবুকে লাইক করুন Charpoka পেজে !