কোনো একটা গানের লাইন, কবিতার লাইন কিংবা কোনো ছন্দ মেলানো বাক্য আমাদের মাথায় বাজতে থাকা একটি নিত্যদিনের ঘটনা। মাথায় কোনো নির্দিষ্ট লাইন ঢুকে গেলে সেটা এক নাগাড়ে বাজতেই থাকে। গানের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা বেশি হয়। আমরা পড়তে বসলে কিংবা কোথাও ঘুরতে গেলে এমনকি নামাজের মধ্যেও মস্তিষ্কে ঢুকে যাওয়া লাইন বাজতে থাকে।
মাথার ভেতর নির্দিষ্ট বাক্য বা গানের লাইন আটকে থাকার বিপত্তিকেই বলা হয় ইয়ারওয়ার্ম ইফেক্ট (Earworm Effect) বা “কানের কীট”। মস্তিষ্কের Auditory Cortex সক্রিয় হবার কারণেই আমাদের মাথায় কোনো বাক্য বা গানের লাইন বাজতে থাকে। নারী ও পুরুষ উভয়ই সমানভাবে এই সমস্যায় আক্রান্ত হয় এবং বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রেই এটা বেশিক্ষণ ধরে স্থায়ী হয়।
জটিল বাক্য বা লাইনের তুলনায় সরল বাক্য বা লাইন Earworm বেশি হয়ে থাকে…
ইয়ারওয়ার্ম হবার কারণ
- কোনো বাক্য বা গানের লাইন প্রথমবার শুনলে।
- অনেকবার শোনা বাক্য বা গান পুনরায় শুনলে।
- কোনো মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়া কিংবা এমন কোনো পরিচিত জায়গায় ফিরে যাওয়া যার সঙ্গে কোনো গানের লাইন বা কোনো পছন্দ/অপছন্দের বাক্যের স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
- চরম হতাশা কিংবা চমকের সাথে কোনো গান অথবা বাক্য শুনলে।
- এমনকি কোনো ঘটনায় বিস্মিত হবার সাথে গান বা বাক্য শুনলেও সেটা মাথায় ঢুকে গিয়ে Earworm শুরু হতে পারে।
ইয়ারওয়ার্ম থেকে মুক্তির উপায়
- মস্তিষ্কে চাপ পড়ে এমন কোনো কাজ করলে। (যেমন- Sudoku, Puzzle কিংবা Word game খেললে)
- অনেক সময় চুইংগাম খেলেও ইয়ারওয়ার্ম ইফেক্ট কমানো যায়।
- মনোযোগ দিয়ে Melodic ধরনের গান শুনলে।
- মাথায় গানের লাইন বাজতে থাকলে সেই গানটির complete version শুনলে। কবিতার লাইন বাজতে থাকলে, সেই সমপূর্ণ কবিতা মনোযোগ দিয়ে আবৃত্তি করলে কিংবা মাথায় কোনো বাক্য বাজতে থাকলে সেই বাক্যের বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা করলে।
- পছন্দের গান মনোযোগ দিয়ে শুনলেও ইয়ারওয়ার্ম ইফেক্ট দুর হয়।