এই মুহুর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক দেশ গুলোর একটি তালিকা করতে বলতে সবার প্রথমে আপনি কোন দেশগুলোর নাম বলবেন? নিশ্চয়ই সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান? এটাই যদি উত্তর হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ধারণা একদমই ভুল !
বিপদজনক দেশ বলতে আমরা আসলে কি বুঝি? শুধু হানাহানি, মারামারি আর যুদ্ধ বিগ্রহ? অস্ত্র বোমার এসব অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোয় শুধু দু’চার দেশের ক্ষতি হয়। কিন্তু এর বাইরেও এমন কিছু দেশ আছে, যারা চাইলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো পৃথিবী তছনছ করে দিতে পারে। সেই ভয়ংকর বিপদজনক দেশগুলো নিয়েই ছারপোকার এই পোস্ট। অল্প কথায় পড়ে ফেলুন…
পৃথিবীর ৭টি সর্বাধিক বিপদজনক দেশ !
১. ব্রাজিল : পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট অ্যামাজনের গাছগুলো কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে ব্রাজিল। প্রতিদিন অসংখ্য গাছ কাটা হয় সেখানে। ব্রাজিল যদি এভাবে গাছ কাটা বন্ধ না করে, তাহলে অ্যামাজন নিঃশেষ হয়ে যেতে আর খুব বেশিদিন লাগবেনা। নিশ্চয়ই জানেন, পৃথিবীর প্রায় ২০% এর বেশি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে এই অ্যামাজন। এর বিন্দু পরিমাণ অক্সিজেনও যদি ঘাটতি পরে, মানবজাতি বড়ধরণের দুর্যোগে পতিত হবে। সেইসাথে ক্ষতিগ্রস্থ হবে পুরো পৃথিবীও !
২. চীন : চীনের জনসংখ্যা এখন এতটাই বেশি যে, তারা চাইলে পুরো পৃথিবীটাকেই অর্থনৈতিকভাবে জিম্মি করে ফেলতে পারো। এরা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত। পৃথিবীতে যেকোনো প্রকার কৃত্রিম সংকট বা দুর্যোগ তৈরি করা এদের জন্য মাত্র দুই মিনিটের ব্যাপার ! যদিও এরা কখনোই আক্রমণাত্মক কার্যক্রম চালায় না। তবুও তাদেরকে ভরসা করা যায় না। সহজ কথায়, চীন একটি যথেষ্ট বিপদজনক দেশ !
৩. রাশিয়া : কোনো দেশ যখন তাদের প্রতিবেশী দেশকে আক্রমণ করতে যায়, তখন বুঝে নিতে হয় এরা অসম্ভব শক্তিশালী। কেননা নিজেদের রক্ষার জন্য প্রস্তুত তারা। এজন্যই প্রতিবেশী দেশের সাথে যুদ্ধ বাধানোর জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি নিচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে এ কাজটা শুধুমাত্র রাশিয়াই করছে। এবং প্রতিবেশী ও প্রতিদ্বন্ধী দেশগুলোও বেশ শক্তিশালী। তাই রাশিয়াকে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ বলা যায়।
৪. পাকিস্তান : ১৯৯৪ সালে মোল্লা ওমরের নেতৃত্বে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে তালেবান নামে একটি দল গঠন হয়, যারা একটা সময় আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধ থামিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে গিয়ে আফগানিস্তানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এবং একটা সময় এরাই আফগান সরকারের পতন ঘটিয়ে রাজধানী কাবুল দখল করে। এই তালেবানরা এখন চেষ্টায় আছে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ানক অস্ত্রটি নিজেদের হাতে পাবার জন্য। একটা পারমানবিক বোমা হাতে পেলেই তারা যেকোনো মুহূর্তে পৃথিবীতে বড়ধরণের অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে। আর ধারণা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই তারা এটা পেতে যাচ্ছে।
৫. ইসরাইল : এরা যদি কোনোদিন নিউক্লিয়ার টেকনোলজি হাতে পায়, তাহলে নিশ্চিতভাবে পৃথিবীর সব দেশগুলোকে এরা ধ্বংস করে দিবে। দীর্ঘকাল যাবৎ ইসরাইল এটির পেছনে ছুটছে।
৬. আমেরিকা : পৃথিবীর একমাত্র সুপার পাওয়ার আমেরিকা ! সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি নামে তাদেরই একটি গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন যাবৎ আমেরিকা সহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের গোপন তথ্য সংগ্রহ করে আসছিলো। এর প্রতিষ্ঠাতা এখন আমেরিকার হাতেই বন্দী। অর্থাৎ বিশ্বের মোটামুটি সব দেশের গোপন নথিপত্রই আমেরিকার হাতে রয়েছে।
৭. উত্তর কোরিয়া : চাচ্ছিলাম না এই দেশটি নিয়ে কথা বলতে। কিন্তু না বলে উপায় নেই। কারণ দেশটির সুপ্রীম লিডার কিম জং উন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, যে কিনা ৬০টি নিউক্লিয়ার বোমা হাতে নিয়ে বসে আছেন কোনো রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ বাধলেই পুরে পৃথিবী ধসিয়ে দেয়ার জন্য !
তবে এই দেশগুলোর বাইরে যাদেরকে আমার সবচেয়ে বিপদজনক বলে মনে হয়, সেই দেশটি হচ্ছে “মুরিকা” (Murica) !
… এই দেশ কোত্থেকে এলো ?
আমি আমেরিকার কথাই বলছি। তবে সব আমেরিকান নয়, শুধু তাদের কথা বলছি, যারা নিরক্ষর। এরা সাধারণত আমেরিকা বলতে পারেনা। আমেরিকাকে ‘মুরিকা’ উচ্চারণ করে। সবচেয়ে বিপদজনক জাতি বলতে এদেরকেই বুঝানো যায়। কারণ সুপারপাওয়ার আমেরিকার নাগরিক হিসেবে এই নিরক্ষক লোকেরা নিজেদেরকে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ধরাছোঁয়ার বাইরে ভাবে। নিজেদের প্রয়োজনে কারো বুকে ছুরি মেরে দিতেও তারা দ্বিধাবোধ করেনা। তাই সবচেয়ে ভয়ংকর ও বিপদজনক জাতির তালিকা লিখতে গেলে সবার প্রথমে এদের কথাই বলা যায়…
… বা, বলা উচিত !