ভদ্রলোকের খেলা বলেই পরিচিত ক্রিকেট। কিন্তু তারমানে এই নয় যে সব ক্রিকেটাররাই সাধু সন্যাসী। সত্যি কথা এটাই, আমরা কেউই সাধু নই। এপর্যন্ত ক্রিকেটের অনেক বিখ্যাত প্লেয়ারের ভদ্রলোকের মুখোশ খুলে বের হয়ে এসেছে নানান কেলেঙ্কারি। ক্রিকেটের শতবর্ষী ইতিহাসে যেমন অনেক বিখ্যাত তারকার জন্ম হয়েছে। আবার অনেকেই ম্যাচ ফিক্সিং, বল টেম্পারিং সহ নানা অপরাধমূলক কর্মাকাণ্ড করে কুখ্যাত হয়েছেন। আবার অনেকের নামের সঙ্গে জড়িয়েছে ‘স্ক্যান্ডাল’ শব্দটি। চলুন ক্রিকেটের ইতিহাস ঘেটে দেখে নেওয়া যাক, কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারের আলোচিত সেক্স স্ক্যান্ডালের খবর !
বিখ্যাত ক্রিকেটারদের নারী কেলেঙ্কারি
শহীদ আফ্রিদি : বুম বুম আফ্রিদি খ্যাত পাকিস্তানি এই তারকা ক্রিকেটারের তুমুল জনপ্রিয়তা আছে নারীমহলে। এই সুযোগটাকে তিনি কাজে লাগাতে ভুলেননি। একটি টুর্নামেন্ট থেকে দেশে ফেরার পথে তাকে সিঙ্গাপুরের একটি হোটেল রুমে একঝাঁক স্বল্পবসনা এবং বিবসনা তরুণীর সঙ্গে ধরা পড়েন তিনি। আফ্রিদির সঙ্গে ছিলেন আরও দুই পাক ক্রিকেটার হাসান রাজা এবং আতিক-উজ-জামান। এই তিন ক্রিকেটার নিজেদের নির্দোষ দাবি করলেও সে বছর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে একাদশে জায়গা হয়নি তাদের।
ক্রিস গেইল : ক্যারিবীয় দানব বলে পরিচিত এই ক্রিকেটার নারীসঙ্গ বিশেষ পছন্দ করেন। তার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব অনেক তরুণীর মাথা ঘুরিয়ে দিতে যথেষ্ট। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় তিন স্বল্পবসনা তরুণীর সঙ্গে হোটেল রুমে ক্যামেরাবন্দি হন তিনি। এরপর এক অস্ট্রেলিয়ান নারী সাংবাদিককে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় অশ্লীল ইঙ্গিত করে পরে ক্ষমা চান।
শেন ওয়ার্ন : এক ব্রিটিশ নার্সকে ফোন করে অশ্লীল কথা বলাই নয়, নোংরা এসএমএস করতেও পিছপা হননি তিনি৷ এর ঠিক তিন বছর পরেও ফের যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়ান ওয়ার্ন৷ ২৫ বছরের একটি মডেলের সঙ্গে বিছানায় কেরামতি দেখান স্পিনের জাদুকর৷ যা দেখে সেই মডেলও শেনের ফিটনেসের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ শোনা যায় শেনের মাঠের সাফল্যের কারণই মহিলা সঙ্গ৷ একই রাতে একাধিক মহিলাকে সয্যসঙ্গী করা ছিল ওয়ার্নের নেশা৷
আসাদ রউফ : পাকিস্তানি আম্পায়ার আসাদ রউফ আইসিসির এলিট প্যানেলভুক্ত। তিনি এক ২১ বছর বয়সী ভারতীয় মডেল লিনা কাপুরের সঙ্গে সংবাদ শিরোনামে আসেন। আসাদের সাথে নিজের অ্যাফেয়ার আছে বলে লিনা দাবি করেন এবং তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। অভিযোগ উত্থাপনের সময় আসাদ রউফ বিবাহিত এবং ২ সন্তানের জনক। তাদের একটি অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায়। আসাদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ছবির মেয়েটিকে নিজের ‘ভক্ত’ বলে দাবি করেন।
মোহাম্মদ আকরাম এবং সাকলাইন মুশতাক : এই দুই সাবেক ক্রিকেটারকে নিয়েও তোলপাড় হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। ১১৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময় তাদের একটি অভিজাত যৌনপল্লীতে পাওয়া গিয়েছিল। সে দিন রাতে তারা টিম হোটেলের বাইরে কাটিয়েছিলেন। পরে তদন্তে এই ঘটনা বেরিয়ে আসে।
কেভিন পিটারসেন : ইংল্যান্ডের মারকুটে এই ব্যাটসম্যান ভ্যানিসা নিমোর সঙ্গে এক মাস সহবাস করে তাঁকে ভুলে যান৷ ভ্যানেসা জানিয়েছিলেন কেপি তাঁকে দিনের মধ্যে বহুবার যৌনমিলনের জন্য জোর করতেন৷
ড্যারেল টাফি : নিউজিল্যান্ডের এই স্পিডস্টারের ২০০৫-এ ২৩ বছরের এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর সেক্স ভিডিও ফাঁস হয়ে যায়৷ যদিও পরে ওই মহিলা টাফিকে চেনেনা বলেই দাবি করেন৷
রুবেল হোসেন : পেসার রুবেল হোসেন প্রথম নারীঘটিত বিতর্কে আসেন ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। নাজনীন আক্তার হ্যাপি নামের বান্ধবী সেই বছর ১৩ ডিসেম্বর প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন তাঁর বিরুদ্ধে। পরে ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি জেলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। জামিন পেয়ে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলেন।
নাসির হোসেন : মি. ফিনিশার খ্যাত নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। সুভা নামে এক মেয়ে নাসিরের বিরুদ্ধে ফেইসবুক লাইভে এসে এসব অভিযোগ করেন। ঠিক ও সময়টাতে অনেকগুলো অডিও রেকর্ডিং ফাস হয়, যাতে সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়, নাসিরের নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা।
সাব্বির রুম্মন : মডেল নায়লা নাঈমের সাথে সাব্বিরের স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ে। একাত্তর টিভিতে সাব্বিরের ড্রাইভার এব্যাপারে অনেক তথ্য জানান। নায়লা নাঈম নাকি রাতে সাব্বিরের বাসায় আসতেন। এছাড়া আরো নানান সময়ে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে সাব্বিরের মুখরোচক অনেক গল্প শোনা যায়। যা আদৌ সত্য কিনা কারোই জানা নেই।
বিখ্যাত ক্রিকেটারদের নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে পরবর্তী পর্বটি পেতে ছারপোকা ম্যাগাজিনের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।