হানিফ সংকেতের বিখ্যাত একটি উক্তি ছিলো, ‘রৌদ্রজ্জ্বল রূপালী ইলিশ নয়, নয় বেশী দূর, এখানে এলেই দেখা পাবে তার, এই সেই চাঁদপুর। ভাঙনের মুখে বিপন্ন তবু হৃদয়ে আশার সুর, এই সেই চাঁদপুর’ !
হ্যাঁ, আজকের এই লেখাটি চাঁদপুর জেলাকে নিয়ে, যা কিনা ‘ভদ্রলোকের জেলা’ বলে পরিচিত ! কুমিল্লা জেলার পার্শ্ববর্তী একটি জেলা এই চাঁদপুর ! গুনে, মানে, ধনে আর খ্যাতিতে অনন্য এই জেলা। মেঘনা নদীর কোলঘেষা এই জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময়। এই জেলার রয়েছে হাজারো অর্জন, যা কিনা অন্য সব জেলার মানুষের কাছেই কমবেশি ঈর্ষনীয় !
চলুন, চাঁদপুর সম্পর্কে এমনই সব তথ্যগুলো অল্প কথায় জেনে নেয়া যাক…
- বাংলাদেশের প্রত্যেক সরকারের বড় বড় মন্ত্রণালয়েই মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন চাঁদপুরের কেউ না কেউ। যেমন – ম.খা আলমগীর, দিপু মনি, এহসানুল হক মিলন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ। এমনকি এককালের উপ-প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরীও চাঁদপুরেরই সন্তান।
- বর্তমানে চার বাহিনীর প্রধানই চাঁদপুরের।
- চাঁদপুর দেশের অন্যতম বৃহৎ নদীবন্দর।
- চাঁদপুর ইলিশের রাজধানী। চাঁদপুরের ইলিশ বিশ্বসেরা।
- চাঁদপুরের সন্তান আমাদের বিখ্যাত সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা 😛
- দেশের রেমিটেন্সের বড় একটি অংশ যায় চাঁদপুর থেকে।
- ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চাঁদপুরের সন্তান।
- দেশের বড় বড় শিল্পপতিদের অনেকেই চাঁদপুরের সন্তান। যেমন – একে আজাদ, সবুর খান প্রমুখ।
- দেশে ও দেশের বাইরে শিক্ষিত শ্রেণীর মানুষদের একটি বড় অংশ চাঁদপুরের।
- কৃষিখাতে চাঁদপুরের ব্যাপক অবদান রয়েছে।
- দেশের বড় বড় ডাক্তার ও প্রকৌশলীদের মধ্যে অনেকেই চাঁদপুরের।
- দেশের প্রতিষ্ঠিত তারকা হিসেবে চাঁদপুরের অনেকেই রয়েছেন, যাদের কারণে মিডিয়াজগত সমৃদ্ধ হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে নায়ক ওয়াসিম, অভিনেতা সাদেক বাচ্চু, দিলদার, শবনম ফারিয়া, শাইখ সিরাজ, কাজী নিপু, আরজে সালমান সহ আরো অনেকের নাম।
- কিংবদন্তী অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি চাঁদপুর সরকারী কলেজ থেকেই এইচএসসি পাস করেছেন।
উপরের তথ্যগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে অনায়াসে চাঁদপুরকে বাংলাদেশের তৃতীয় রাজধানী বলা যেতে পারে। এর বাইরে চাঁদপুরের অপরূপ সৌন্দর্যের কথা নাহয় আর নাই বললাম…