মদ বিয়ার ভদকা ওয়াইন কোনটায় কেমন ক্ষতি ?

মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে যেহেতু তৈরি, এর কিছু ভালো দিক অবশ্যই আছে। আমাদের দেশের চোলাই মদে যদিওবা কোন উপকারী দিক নেই, কিন্তু বিদেশী ব্র্যান্ডের মদগুলো বেশিরভাগই ফলমূল, সবজি, গাছগাছালি লতাপাতার মতো কাঁচামাল থেকে তৈরী। সুতরাং স্বল্প পরিমাণে মদ্যপান শরীরের জন্য কিছুটা হলেও উপকারী। আজকের আর্টিকেলে বিয়ার, ভদকা, ওয়াইন, স্কচের মত ব্র্যান্ডগুলোর মদের উপকারীতা নিয়ে আলোচনা করবো। তো চলুন, দেখে নিই…

বিয়ার

২০১১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালে বিয়ার শরীরে প্রচন্ড প্রশান্তি দেয়। এর কারণ হলো এতে বিদ্যমান ভিটামিন “বি” (থায়ামিন এবং রিবোফ্লামিন)। বিয়ারে এলকোহলের পরিমাণ মাত্র ৫ শতাংশ। ওয়াইন এবং সিডারের চেয়ে এতে পুষ্টি উপাদান বেশি মজুদ আছে। সুতরাং যারা মাসে দুয়েকবার বিয়ার খান, তাদেরকে মদ্যপায়ী বলা যায় না।

  • বিয়ার আপনাকে অতিদ্রুত হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। কারণ এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং গ্লুকোজ থাকে।
  • বিয়ার মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে।যাদের পার্কিনসন (মৃগীরোগ) আছে, তাদের রোগকে প্রতিরোধের জন্য বিয়ার ১০০% কার্যকরী।
  • বিয়ার ক্যান্সার এবং নিউরোলজিক রোগ প্রতিরোধেও কার্যকরী।
    বিয়ার আপনার শরীর সবল এবং ফিট করে।
  • বিয়ার ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে।
  • এছাড়াও ভরপুর মিনারেলস থাকার কারণে বিয়ার শরীরের হাড়কে শক্ত করে।(আইরনের পরিমাণ বেশি)
    বিয়ার আমাদের শরীরের HDL কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে এবং LDL কোলেস্টেরল কমায়। যার কারণে স্ট্রোক হবার ঝুঁকি কমে যায়।
  • এছাড়াও বিয়ার পানকারীদের ডায়বেটিক ঝুকি কম থাকে। কারণ এটা ইনসুলিন হরমোনের পর্যাপ্তি ঠিক রাখে।

বিয়ার মূলত তৈরী হয় বার্লি এবং হপ থেকে !

ভদকা

ভদকা একটি মোটামুটি ‍‍মানের দামী মদ হলেও এর চাহিদা বিশ্বব্যাপী অনেক বেশি। যারা মদপান করেন, তাদের প্রথম পছন্দই হয় মূলত ভদকা। এই ভদকা আবার অনেক ক্ষেত্রে টনিক হিসেবেও কাজ করে।

  • দাঁতের সুরক্ষায় ভদকা নিদারুণভাবে কাজ করে।
  • ভদকা আমাদের মুখের জীবাণু সমূহকে নিমিশেই মেরে ফেলতে সক্ষম।
  • এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভদকা খুবই এন্টিব্যাকটেরিয়াল পানীয়।কারণ এটি পুদিনা পাতা,তুলসী এবং বাসক পাতার মত লতাগুল্ম থেকে তৈরী হয়।
  • ক্র্যানবেরী ভদকা রক্তের জটিল সমস্যা দূর করতে সহায়ক।

ওয়াইন

উপকারীতা রয়েছে ওয়াইনেও ! ভদকার পরেই সবচেয়ে বেশি যে অ্যালকোহলিক পানীয়টি চলে, সেটি হচ্ছে ওয়াইন । এটি ভদকার চেয়ে একটু উপরের ক্যাটাগরিতে পরে। ওয়াইন যদি স্বল্প পরিমাণে পান করেন, তবে এটা আপনার রেচনতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। কিনৃতু অতিরিক্ত পান করলে ওয়াইনই আপনার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়াবে।

হার্ড অ্যাপল সিডার

এটা বিয়ার এবং ওয়াইনের মতই উপকারী। অনেক ক্ষেত্রে এটাকে বিয়ারের বিকল্প হিসেবে ধরা হয়।

ফার্নেট-ব্রাঙ্কা

পশ্চিমা দেশগুলোয় এটা একটা ঘরোয়া রেসিপি।বার হোক বা ঘর, ককটেইল খোরদের কাছে এটা জনপ্রিয়। আশ্চর্যজনকভাবে, এটাও সাস্থের জন্য উপকারী। এটা এইডস বা যৌন সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।

রেড ওয়াইন

পশ্চিমা দেশগুলোয় দম্পতিরা নিজেদের বিবাহ বার্ষিকী কিংবা কাপলরা বিবাহ-পূর্ববর্তী ডেটে রেড ওয়াইন অবশ্যই পান করে। এটা তাদের কাছে ঐতিহ্যময়। এটাতে রয়েছে প্রচুর আয়রন, পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম এবং আরো উপকারী মিনারেল। এটা ওজন কমানোর জন্য ঔষধের মত কাজ করে। যারা খুব মোটা, তাদেরও আধ ঘন্টায় ঘান ঝরিয়ে এক পাউন্ড ওজন তৎক্ষণাৎ কমিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। বিশ্বাস না হলে ট্রাই করে দেখতে পারেন ?

( বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেল কোনোভাবেই মদ্যপানকে সমর্থন কিংবা উৎসাহিত করে না। আর্টিকেলটি শুধু মাদকদ্রব্যের উপর চালনা করা কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে প্রমোট করে এবং সমাজে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের যাতে বিকারগ্রস্ত না ভাবা হয় এবং তাদের সংশোধিত হতে সাহায্য করে, সে উদ্দেশ্যেই প্রকাশিত )

Leave a Reply