দুই নেত্রী, রাজনীতির মাঠে তারা প্রবলভাবে একে অপরের প্রতিপক্ষ। একজন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরেকজন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দুজনের মধ্যে মিলের চেয়ে অমিলই সবচেয়ে বেশি খুঁজে পাওয়া যায়। এমনটা হওয়াই তো স্বাভাবিক। মিল বলতে শুধুমাত্র এটুকুই, দুজনই বাংলাদেশের নারী নেত্রী। কিন্তু এর বাইরেও একটি মিল রয়েছে ! বিশ্বকাপ ফুটবলে এই দুজন নেত্রীই ব্রাজিলের সমর্থক !
পূর্বে প্রকাশিত হওয়া বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ঘেঁটে জানা গেলো, শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া দুজন নেত্রীই ব্রাজিল সমর্থন করেন ! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগে থেকেই খেলাধুলার খোঁজখবর রাখেন। ক্রিকেটে প্রায়ই বাংলাদেশের ম্যাচের সময় তাঁকে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের ভিআইপি লাউঞ্জে দেখা যায়। ক্রিকেটারদের সাথেও বেশ আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে তার। তবে ফুটবলের প্রতিও আগ্রহের কোনো কমতি নেই !
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন উপ-প্রেস সচিবের মারফতে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের দল ব্রাজিল। একসময় তিনি ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী তারকা পেলে’র খেলা খুব পছন্দ করতেন। তবে আর্জেন্টিনার খেলাও তার ভালো লাগে বলে জানা যায়। প্লেয়ারদের মধ্যে লিওনেল মেসির খেলাও প্রধানমন্ত্রীর বেশ পছন্দের।
খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইংয়ের একজন কর্মকর্তা গত বিশ্বকাপের সময় সংবাদমাধ্যম গুলোকে জানিয়েছিলেন, ‘খালেদা জিয়া ব্রাজিলের কঠিন সমর্থক। খালেদা জিয়ার মতে, এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপ ব্রাজিলের দখলেই যাবে।’ যদিও খালেদা জিয়ার ভবিষ্যতবাণীটি দুঃখজনকভাবে সত্য হয়নি। এবার কারাগারে বন্দি অবস্থায় তিনি খেলা দেখবেন কিনা, তা নিয়েই বেশ সন্দেহ রয়েছে। কারাগারের বাইরে থাকলে নিশ্চয়ই তিনি ‘ব্রাজিল কয়টি গোল দিবে’ তা নিয়ে আরেকটি ভবিষ্যতবাণী করতেন !
শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়ার সর্বশেষ ২০০৯ সালে সাক্ষাৎ হয়েছিলো। তাদের দুজনের মধ্যে দেখা হয় না প্রায় দশ বছর হয়। ফোনে কথা বলা নিয়েও ঘটে গেছে কত কাণ্ড! এসব ঘটনায় দুই দলের দ্বন্দ্ব বেড়েছে, শীর্ষ দুই রাজনৈতিক ব্যক্তির মধ্যে বেড়েছে কেবলই দূরত্ব। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই দুজনের অবস্থান এখন উত্তর আর দক্ষিণ মেরুতে। পরস্পরের ঘোর বিরোধী তাঁরা। তবুও এই দুই বিপরীত অক্ষের মানুষ এক বিন্দুতে ঠিকই মিলে যান একটা জায়গায়, তা হচ্ছে, তাঁরা দুজনই বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সমর্থক !
হলুদ জার্সির এই দলটা জিতলে তারা দুজনই খুব খুশি হন। ব্রাজিলের বাংলাদেশি সমর্থকেরা এখন দাবী করতেই পারেন, ব্রাজিল জিতলেই যেনো জিতে যায় বাংলাদেশ !