ইদানিং সমুদ্রের নিচে কত অদ্ভুত কিছুর দেখা মিলছে। বড় বড় বিজ্ঞানীরাও এখন মহাকাশ নিয়ে ভাবা বাদ দিয়ে সাগরের তলদেশ নিয়ে ভাবতে বসেছেন। আবিষ্কার হচ্ছে নানান রকমের উদ্ভট উদ্ভট প্রাণী। কিন্তু তাই বলে জীবন্ত আনারস? ব্যাপারটা কেমন না? সী পাইনাপেল নামক এই জীবন্ত আনারস নিয়েই আজকে আমরা কথা বলবো…
সী পাইনাপেল , বাংলায় যাকে বলা হয় সমুদ্রের আনারস ! নাম Sea Pineapple হলেও এটা কিন্তু আসলে কোনো ফল নয়। কর্ডাটা পর্বের এই সামুদ্রিক প্রাণীটি কোরিয়া ও জাপানের সুস্বাদু খাবার হিসেবে পরিচিত ! কোরিয়ায় সী পাইনাপেলকে মিওঙ্গে (Meongge) নামে ডাকা হয়। আর জাপানে একে ডাকা হয় হোয়া (Hoya) বা মাবোয়া (Maboya) নামে।
কোরিয়ার মাছের বাজারে দেখা মিলে অদ্ভুত এ সামুদ্রিক জীবটির, যা কিনা দেখতে হুবহু আনারসের মত !
খুবই স্বচ্ছ, পরিষ্কার ও অগভীর পানিতে এর বসবাস। এটি সাধারণত পানির নিচে থাকা পাথরের খাঁজে জন্মায়। আবার দীর্ঘদিন সাগরপৃষ্ঠে থাকা সামরিক সাবমেরিনের গায়েও এটির আবাস পাওয়া যায়। প্রথমবার এটি যেখানে জন্মায়, শ্যাওলা বা ছত্রাকের মত করে সেখানে এর বসতি বাড়তে থাকে।
গবেষকদের মতে, এটা এমনই এক প্রাণী, যা সবসময়ই ছিলো আমাদের কল্পনার বাইরে। কেননা খাওয়ার উপযোগী এরকম একটি জীব শুধুমাত্র কল্পনাতেই ভাবা সম্ভব। যা কিনা এখন বাস্তব !
খেতে কেমন এ খাবারটি?
সী পাইনাপেল সুশির মত করে কাঁচা খাওয়া হয়। খাওয়ার আগে এটিকে ভালোমত ধুয়ে পেট কেটে ভেতর থেকে নাড়িভুড়ি বের করতে হয়। তারপর এটিকে কুচি কুচি করে কেটে সালাদের সাথে খাওয়া হয়। এটি খেতে কিছুটা আয়োডিনের মত। মুখে নেয়ার পর মনে হবে, অ্যামোনিয়ার মধ্যে ডুবিয়ে রাখা রাবার মুখে তুলে খাওয়া হচ্ছে !
জাপানে সী পাইনাপেলকে সাশিমি বানিয়ে ভিনেগার দিয়ে খাওয়া হয়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, অদ্ভুদ এ প্রাণীটির পেট কেটে নাড়িভুড়ি বের করে ফেলার পর এটি পানিতে ছেড়ে দিলে এটি আবার আগের মত সচল হয়ে যায়। এবং স্বাভাবিক ভাবেই বেঁচে থাকে !
আরো পড়ুনঃ