সী কিউকাম্বার ! নাম শুনলে মনে হবে এটা হয়ত সামুদ্রিক শসা বা সমুদ্রের কোনো গাছের ফল। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এটা কোনো সবজি নয়, এটি একটা প্রাণী !
সী কিউকাম্বার বা সামুদ্রিক শসা
একাইনোডার্মাটা পর্বের এই Sea Cucumber প্রাণীটি দেখতে কিন্তু আসলেই শসার মতন। এর দেহ নিঃসৃত আঁঠালো পদার্থের সাথে সমুদ্রের পানি এবং বিভিন্ন জীবদেহের সংমিশ্রণে এটি বর্নিল রঙয়ের দেহ ধারণ করে। শরীরেও কোন হাড় না থাকায় প্রাণীটি আকারে যত বড়ই হোক না কেনো, যেকোনো মাপের ছোট্ট ছিদ্র দিয়েই এটি বের হয়ে যেতে পারে !
এশিয়ানদের খাদ্য তালিকায় এর অবস্থান অনেক উঁচুতে। কোরিয়ার বহুল জনপ্রিয় খাবার এটি। জাপানের ফিশ মার্কেটগুলোয় সী কিউকাম্বার অহরহ পাওয়া যায়। তবে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোয় এর দাম অনেক বেশি !
কোরিয়ানরা যেভাবে সী কিউকাম্বার খায় !
কোরিয়ায় সী কিউকাম্বারকে টুকরো টুকরো করে কেটে সুশি বানিয়ে খাওয়া হয়। তারা এটাকে ভালোমত ধুয়ে আঠা বের করে তারপর খুব চিকনভাবে টুকরো করে কাটে। বেশি আঠালো হলে এটিকে গরম পানিতে এক মিনিট সেদ্ধ করে তারপর চিলিপেস্ট বা মরিচের পানিতে চুবিয়ে কাঁচা খাওয়া হয় !
আবার পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে ভাজি করেও সী কিউকাম্বার খাওয়া যায়। এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোয় এ পদ্ধতিটি জনপ্রিয়…
খেতে কেমন লাগবে?
সী কিউকাম্বার খেতে আঠালো এবং স্যাঁতস্যাঁতে। মুখে নিলেই মনে হবে আপনি বড় কোনো মাছের থলথলে চামড়া খাচ্ছেন বা মাছের নাড়িভুড়ি চিবাচ্ছেন ! তবে এ খাবারটি খেতে কিন্তু মোটেও খারাপ নয়। অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার হিসেবেই জাপান ও কোরিয়ায় পরিচিত এই সী কিউকাম্বার বা সামুদ্রিক শসা !