ইহুদি জাতিকে আমরা সবাই কমবেশী ঈর্ষা এবং ঘৃণা করে থাকি। যার একটাই কারণ হিসাবে দেখা যায় তাদের বুদ্ধিমত্তা। শুনলে হয়ত অবাক হবেন ইহুদি শিশুদের বুদ্ধিমত্তা তাদের জন্মের আগেই নির্ধারণ করা হয় বা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অবাক হচ্ছেন তো? তাইলে আসুন আপনার মনের সংশয় দূর করে জেনে নিনে কিভাবে এই কাজটি তারা করেন…
ইহুদি ধর্মগুরুদের প্রত্যকেই পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত সকল পবিত্র গ্রন্থ এবং মহামানবদের কথা এত ভালো করে জেনে এরপরে তাদের ধর্মগুরু হিসাবে নিয়োগ পান, যা ভাবতে গেলেই আপনি এবং আমি মাথা ঘুরে পরে যাবো। আর এই কাজটা তারা করেন বা করেছেন এই জন্য, যাতে জার্মানিরা আক্রমণের পর যেসব ইহুদি জাতি একেবারেই ধ্বংসের মুখে চলে আসে তাদের জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে। এবং তাদেরকে বিশ্বের মধ্য শ্রেষ্ঠ জাতি হিসাবে দেখাতেও তারা এই অন্যান্য ধর্মের জ্ঞান অর্জন শুরু করে। আর এই জ্ঞান অর্জন শুধু ধার্মিক কারণেই নয়, এই জ্ঞান থেকে তারা আবিষ্কার করে ফেলেন কিভাবে জন্মের আগে পরিপূর্ণ পরিচর্চা পেলে একজন শিশু সঠিক ভাবে মেধাবী হয়ে জন্ম নিবে !
ইহুদি মা গর্ভধারণ করার জন্য আগেই তাকে প্রস্তুত করা হয়। ওজন বয়স এবং অন্যান্য রোগের পরীক্ষা করে তাকে প্রস্তুত করা হয় গর্ভধারণের জন্য। মাসিকের ১০দিন পর তাকে তাঁর স্বামীর সাথে নব্য দম্পতির মত করে ৪ থেকে ৫ দিন কাটানোর সুযোগ করে দেয়া হয়। ইহুদি নারীদের মতে এই সময়টা তাদের জীবনে স্বর্গবাসের সমতুল্য। এই সময় নারীরা যাতে হাসিখুশি থাকেন এবং তাদের পছন্দের খাবার পায় সেদিকেও লক্ষ্য করা হয়। তাদের পছন্দের ফুল এবং রঙ দিয়ে তাদের ঘর সাজানো হয়।
ইহুদি নারী গর্ভধারণে সক্ষম হলে প্রথম মাস থেকেই নির্বাচিত ডাক্তারদের বিশেষ পরিচর্যায় থাকেন। এই সময় মা কে অঙ্ক করতে দেয়া হয়। এছাড়াও তাকে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিষয় ছাড়া অন্য কোন কিছু টেলিভিশনে অথবা কম্পিউটারে দেখতে দেয়া হয় না। ভিডিও গেমস হিসাবে তাকে ৫-৭ বছরের শিশুদের উপযোগী খেলা দেয়া হয়। পরীক্ষা করে পরমান মত খাবার এই সময় পরিবারের লোকজন তাকে খেতে দিতে থাকেন। গর্ভধারণের ৫ মাস থেকে তাকে ধর্মীয় জ্ঞান অডিওতে শোনানো হয়। ঘুমের সময় স্নায়ু সজীব থাকে এবং মস্তিষ্ক রিলেক্সেশনের মিউজিক শোনানো হয়। কোন প্রকারের মস্তিষ্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন কোন কথা বা ঘটনা তাঁর সামনে বলা নিষেধ করা হয়। তাকে কোন প্রকারের সিনেমা বা গান শোনানো হয় না যা জ্ঞান বিজ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত নয়।
৬ মাসের পর থেকে প্রতিদিন একজন নার্স এসে মাকে শিখিয়ে দিতে থাকবে কিভাবে সে বাচ্চাকে বড় করবে কিভাবে তাকে কোলে নিবে, দুধ খাওয়াবে, পরিষ্কার করবে। বাচ্চা জন্মের পর ইহুদি নারীদের একমাত্র কাজ থেকে নিজেকে পরিষ্কার রাখা বাচ্চার যত্ন নেওয়া এবং বেশী করে খাবার খাওয়া যাতে বাচ্চার দুধের কোন ঘাটতি না পরে।
প্রতিদিন ধর্মীয় মিউজিকের মাধ্যমে বাচ্চাকে ঘুমা পাড়ানো এবং বাচ্চা যাতে অধিক ঘুমাতে পারে সে দিলে লক্ষ্য রাখা। এসব কিছু ছাড়াও বাচ্চা বড় হলে তাকে হাড়ি পাতিল, গাড়ি- বন্ধুক দিয়ে খেলতে না দিয়ে প্রকৃতির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রকৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। রঙ করতে ছবি একতে দেয়া হয়। ক্লে দিয়ে বিভিন্ন জিনিষ তৈরিতে উৎসাহ দেয়া হয়, লিগো দিয়ে ছবি দেখে বস্তু তৈরি করতে বলা হয়। তাকে ৩ বছর থেকেই তাঁর লিঙ্গ সম্বন্ধিত জ্ঞান, পোশাক পরিচ্ছদের জ্ঞান এবং কথা বলার আদব কায়দা শেখানো হয়। খাবার টেবিলের ম্যানারিজম নিজের হাতে তুলে খাবার খাওয়ার সময় থেকেই শেখানো হয়। ৭ বছর বয়স থেকে তাকে নিজের কাজ গুলো বুঝিয়ে দেয়া হয়। আর পড়াশোনার জন্য ১০ বছর পর্যন্ত তাকে কোন প্রকারে চাপ প্রয়োগ না করে নিজের মত করে জ্ঞান অর্জনের জন্য উৎসাহ দেয়া হয়। এই সময় কার্টুন না দেখিয়ে তাকে দেখানো জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল বিষয়। পড়ানো হয় ভূগোল আর ধর্মীয় সকল গ্রন্থ।
আর এভাবেই ইহুদি ধর্মগুরুরা বছরের পর বছর তাদের জাতিকে সবথেকে উন্নত জাতি হিসাবে টিকে থাকার এই যুদ্ধে প্রস্তুত করে আসছে।