অ্যাপোলো ১১ এর চন্দ্রগমণ অভিযান পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আর এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নীল আর্মস্ট্রং, মাইক কলিন্স এবং বাজ অলড্রিন। চাঁদে প্রথম অবতরনের এই মিশন সম্পর্কে কিছু তথ্য রয়েছে, যা এখনো অনেকেরই অজানা। এমনই কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো এ পোস্টে-
১. যে রকেটে চেপে তিন নভোচারী চাঁদে গিয়েছিলেন, এখন পর্যন্ত সেটিই সবচেয়ে লম্বা এবং ভারী নভোযান। এটি প্রায় ৩৬৫ ফিট লম্বা এবং এটি সংযোজন করতে প্রয়োজন হবে Vehicle Assembly Building in the Kennedy Space Centre এ থাকা সবচেয়ে বড় বিল্ডিং। মজার ব্যাপার হল এই বিল্ডিং এতই দীর্ঘ যে এখানে মেঘ জমে থাকে।
২. চাঁদের বুকে পান করা প্রথম পানীয় ছিল ‘ওয়াইন’।
৩. যদিও চাঁদের উদ্দেশ্যে তিনজন পৃথিবী ত্যাগ করেছিল, কিন্তু দুইজনের পদচিহ্ন অংকিত হয়েছে চাঁদের বুকে। কারন কলিন্স ছিলেন অরবিটিং মডিউলে। আর তাদের পায়ের ছাপ এখনো রয়ে গেছে চাঁদে।
৪. চাঁদের পরিবেশে ছিল একটি অন্য রকম গন্ধ। এমনকি দুই নভোচারী যখন চাঁদের বুকে হেঁটে মূল স্পেসশিপে ফিরে আসলেন, তখনো তাদের স্পেসশ্যুটে ছিল সেই গন্ধ। তাদের মতে এটি এটি ছিল ব্যবহৃত গানপাউডার এবং ভেজা ছাইয়ের মত।
৫. নীল আর্মস্ট্রং কেনো অ্যাপোলো ১১ থেকে প্রথম চাঁদের বুকে অবতরন করেছিলেন, এই ব্যাপারটি নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে যেহেতু নভোযানের দরজার পাশেই ছিলেন তিনি, তাই তিনিই প্রথম নেমেছিলেন বলেই ধরে নেওয়া হয়। আর এ ব্যাপারে অল্ড্রিনেরও কোন আক্ষেপ নেই।
৬. যদিও মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে অ্যাপোলো ১১ স্পেসশিপ তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু সেখানে দেখা দিয়েছিল সমস্যা। লুনার মডিউলে ফিরে আসার পর অল্ড্রিন ভুলবশত ইগনিশন বাটন ভেঙ্গে ফেলেন। আর এটি ছাড়া ইঞ্জিন চালু করা সম্ভব ছিল না। সে মুহূর্তে তাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করে একটি বল পয়েন্ট কলম। কলম ব্যবহার করে কাজটি করার বুদ্ধি মাথায় আসে অল্ড্রিনেরই এবং ভাগ্যবশত সেটি কাজ করেছিল।
৭. এই ঘটনা টিভিতে দেখার জন্য প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মানুষ তখন অপেক্ষা করছিলেন। আর এই রেকর্ড টিকে ছিল পরবর্তী ১২ বছর।
আরো পড়ুনঃ চন্দ্র বিজয়ের অভিযান কি সত্যি নাকি বানোয়াট?