একটা নির্দিষ্ট বয়সে ঝুম বৃষ্টি যতই রোমান্টিক মনে হোক না কেনো, এর বিরূপ প্রভাব কিন্তু বেশ প্রসারিত…
সাধারণত বৃষ্টিতে ভিজলেই আমাদের সর্দি-কাশি এবং ক্ষেত্র বিশেষে জ্বরেও ভূগতে হয়। বৃষ্টির জল বেশ ঠান্ডা হয়, তাই এই জলে ভিজলে বুকে ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হয়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এ্যালার্জির কারণে শুধু হাঁচি-কাশি হয়।
বৃষ্টির জলে ভিজলে জ্বর হয় না, কিন্তু ভেজা কাপড় শরীরে শুকানোর কারণে অনেকেরই জ্বর হতে পারে। তাই বৃষ্টিতে ভেজার পর খুব দ্রুত শুকনো কাপড় দিয়ে শরীর মুছে ফেলা উচিৎ। জ্বর বা সর্দি-কাশি হলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই, এই জ্বর সাধারণত ৮-১০ দিনের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়। এসময় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
অনেক সময় জ্বরের সাথে গলা ও মাথাব্যথার প্রকোপ দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্যাথানাশক হিসেবে প্যারাসিটামল বেশ উপকারী। তাছাড়া সর্দি লেগে নাক বন্ধ হয়ে গেলে বা অনবরত নাক থেকে পানি ঝড়লে নোজ্যাল ড্রপ ব্যাবহার করা যেতে পারে। এসময় তরল-গরম পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিৎ এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া দরকার। গলা ব্যথায় লবণ পানিতে গড়গড়া বেশ আরাম দিতে পারে।
এধরনের সর্দি-কাশি বায়ুবাহিত রোগ, তাই আক্রান্ত ব্যক্তির উচিৎ মুখে মাস্ক বা রুমাল ব্যাবহার করা। যাতে করে সুস্থ্য কেউ তার হাঁচি-কাশির সংস্পর্শে না আসে।
সামান্য কিছু সতর্কতা আমাদের দিতে পারে সুস্থ্য সুন্দর রোমান্টিক বৃষ্টিবিলাস 😉