কোটা ব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলতে গেলে প্রথমেই যে কথাটি আসে তা হচ্ছে, কোটা ব্যবস্থা মেধাবীদের জন্য প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। এই কথাটির সাথে সহমত দ্বিমত জানানোর জন্য আমি এই লেখাটি লিখছি না। এজন্যেই লেখাটির শিরোনাম দিয়েছি, কোটা ব্যবস্থার পোস্টমর্টেম বা ময়নাতদন্ত !
কখনো কখনো একজন মুচির ছেলেও ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক বা একজন দেশপ্রেমিক হতে পারে। পক্ষান্তরে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও কেউ কেউ উচ্ছন্নে যেতে পারে। অতি আদরে বাদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কিনা তাই !
মেধা, দেশপ্রেম কিংবা প্রতিভা কৃত্রিম নয়, স্বতন্ত্র। আজকের মেধাবী আগামী দিনে দেশের কর্ণধার। সুতরাং দেশের উন্নয়নে মুক্তিযোদ্ধা বা অন্য কোনো কোটা নয়, মেধাবী কোটাকে প্রাধান্য দেওয়া হোক। উদাহরণ স্বরুপ, এডমিশন টেস্ট কিংবা চাকরির ক্ষেত্রে…
হ্যাঁ, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে তাদের পরিবারের জন্য কিছু করা আবশ্যক। সেক্ষেত্রে পরিবারের ভরনপোষণ সহ বাচ্চাদের বিনা খরচে পড়াশোনা করানোর ব্যবস্থাও নেয়া যেতে পারে। তারা মেধাবী হলে অবশ্যই তারা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাবে। দেশের জন্যই তো আমাদের যত ত্যাগ স্বীকার। সুতরাং, ভবিষ্যতেও এই ধারা অক্ষুন্ন রাখতে, দেশের উন্নয়নে মেধাবীদের অগ্রাধিকার আবশ্যক।
কথিত আছে, “যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত” !
দেশপ্রেম, মেধা, সততা কোন পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, স্বতন্ত্র। বাজি ধরে বলা যায় একজন পথ শিশু যদি কোনো ধনী পরিবারের সন্তানের ন্যায় সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে, তাহলে সেও ভালো কিছু হতে পারে।
সর্বোপরি বলতে চাই, একজন সৎ দেশপ্রেমিক আগামী দিনের মুক্তিযোদ্ধা। আর একজন মেধাবী ভবিষ্যতের বুদ্ধিজীবী।